মোঃ মাঈন উদ্দিন:
🏡 পারিবারিক ও বংশগত পরিচয়
মাঈন উদ্দিন জন্মগ্রহণ করেন কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বটতলী ইউনিয়নে, এক প্রভাবশালী মুসলিম জমিদার পরিবারে। তিনি জমিদার গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়ার বংশধর এবং নওয়াব ফয়জুন নেছার উত্তরসূরি। তাঁর পিতা জয়নাল আবেদীন ও মাতা ফারুকে নেছা – দুজনই এলাকার সুপরিচিত, সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি পরিবারের জ্যেষ্ঠ সন্তান।
📚 শিক্ষাজীবন: ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া
মাঈন উদ্দিনের শিক্ষা জীবনের সূচনা আইটপাড়া আজিজিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে। এরপর দৌলখাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে মাধ্যমিক শেষ করেন বক্সগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন সরকারি বাংলা কলেজ, ঢাকা থেকে। তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে বিএসএস, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০০৪ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হয়ে তিনি আইন পেশায় শুরু করেন এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতি ও ঢাকা কর আইনজীবী সমিতির আংগিনায় রাজনৈতিক শুরু করেন।
🏛️ রাজনৈতিক পথচলা: ছাত্রদল থেকে কর আইনজীবী ফোরাম পর্যন্ত
মোঃ মাঈন উদ্দিনের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ১৯৮৭ সালে, স্কুল জীবনেই নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদল-এর মাধ্যমে। এরপর আর থেমে থাকেননি। ২০০৮ সালে তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্যপদ লাভ করেন এবং দীর্ঘ নয় বছর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে দলীয় নমিনেশন ফরম গ্রহণ এবং জমা প্রদান করেন অতঃপর মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেন, ২০১৮ সালেও তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম গ্রহণ এবং জমা প্রদান করেন অতঃপর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও জেলে আটক জনাব মনিরুল হক চৌধুরী সাহেব ও দলের পক্ষে নিরলস পরিশ্রম করেন।
২০১১ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তরুণ দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২০১০ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল থেকে এডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও এডভোকেট আনোয়ার জাহিদের প্যানেল থেকে সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৫ সালে তিনি জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী দলের সদস্য এবং ২০১৯ সালে জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফেরামের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হন। ২০২০-২১ সালে তিনি ঢাকা কর আইনজীবী সমিতির সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ২০২২-২৩ সালের নির্বাচনে ট্রেজারার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যদিও সে নির্বাচন বর্জন করতে হয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে।
২০০৯ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বিএনপির পক্ষে প্রচারণায় সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন এবং বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । এলাকার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, মামলা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা করেছেন।
🌱 সামাজিক অবদান ও নেতৃত্ব
রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি মাঈন উদ্দিন সমাজসেবায়ও নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। তিনি ঢাকাস্থ নাঙ্গলকোট জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ, নাঙ্গলকোট উপজেলা সমিতি, এবং বৃহত্তর দৌলখাড় সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি দৌলখাড় পূর্ব পাড়া মসজিদ ও নারায়ন ভাতুয়া ভূঁইয়া জামে মসজিদের সভাপতি, ইয়াং স্টার ক্লাব ও পাঠাগারের প্রধান উপদেষ্টা এবং বটতলী ইউনিয়ন প্রবাসী ফোরামের পৃষ্ঠপোষক। কোভিড-১৯ মহামারি ও বন্যার সময় তিনি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রকৃত মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
২০২৫ সালে তিনি আইটপাড়া আজিজিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সভাপতি হন এবং তাঁর তত্ত্বাবধানে মাদরাসাটি উপজেলায় ১০০% পাশের অনন্য নজির স্থাপন করে।
🌟 চরিত্র ও প্রভাব
মোঃ মাঈন উদ্দিন একজন সৎ, বিনয়ী, পরোপকারী, শিক্ষিত ও সংগঠক। রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তাঁর ব্যক্তিত্ব ও কার্যক্রম নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকাতেও প্রশংসিত। জমিদার গিয়াস উদ্দিন ভুঁইয়া ও নওয়াব ফয়জুন নেছার উত্তরসূরি হিসেবে তিনি বংশের গৌরব ধরে রেখেছেন সততা, মানবতা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে।
________________________________________
শেষ কথা:
মোঃ মাঈন উদ্দিন শুধু একজন আইনজীবী কিংবা রাজনীতিক নন, তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সংগঠক ও সমাজসেবক, যিনি তাঁর বিশ্বাস, আদর্শ ও দায়িত্ববোধ নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশ, দল এবং সমাজের কল্যাণে।
______________________________________